“দ্বীপশিখা”
(কুতুবদিয়া স্টুডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন, ঢাকা)
স্থাপিত-২০১৭ খ্রিঃ
গঠনতন্ত্র (Structuralism)
আমরা ঢাকায় অধ্যয়নরত কুতুবদিয়া উপজেলার শিক্ষার্থীরা শিক্ষা(Education), প্রগতি (Progression), বন্ধন (Unification) এই তিনটি মূলনীতির ভিত্তিতে “দ্বীপশিখা” নামে একটি সম্পূর্ণ অরাজনৈতিক ও ভ্রাতৃত্বমূলক সংগঠন প্রতিষ্ঠা করেছি; তাই আমরা প্রতিজ্ঞা করছি যে, পারস্পারিক পরিচিতি, ভ্রাতৃত্ববোধ ও সহযোগিতার মাধ্যমে মেধা ও প্রতিভা বিকাশের সুযোগ সৃষ্টি করে শিক্ষা ক্ষেত্রে কুতুবদিয়া উপজেলার ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করব।
কুতুবদিয়া উপজেলার ছাত্র-ছাত্রীদের অভিপ্রায়ের অভিব্যক্তি স্বরুপ এই গঠনতন্ত্রের প্রাধান্য অক্ষুন্ন রাখা এবং এর রক্ষণাবেক্ষণ, সমর্থন ও নিরাপত্তা বিধান আমাদের পবিত্র কর্তব্য ।
এই মর্মে আমরা “দ্বীপশিখার” সদস্যবৃন্দ বাংলা ২৮শে বৈশাখ ১৪২৪ মতে ১২ই মে ২০১৭ খ্রিঃ তারিখে এই গঠনতন্ত্র রচনা ও লিপিবদ্ধ করে সর্বসম্মতিক্রমে গ্রহণ করলাম।
অনুচ্ছেদ-১
নামকরণ
এই সংগঠনের নাম-
বাংলা- দ্বীপশিখা
(কুতুবদিয়া স্টুডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন, ঢাকা)
English- Dwipshikha
(Kutubdia Students Association, Dhaka)
অনুচ্ছেদ-২
কার্যালয়
সংগঠনের কার্যালয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় অবস্থিত হবে।
অনুচ্ছেদ-৩
ক. মূলনীতিঃ
অত্র সংগঠনের মূলনীতি হবে- শিক্ষা(Education), প্রগতি(Progression), বন্ধন(Unification).
খ. মনোগ্রামঃ
অত্র সংগঠনের নিজস্ব মনোগ্রাম থাকবে।
অনুচ্ছেদ-৪
সংগঠনের ধরন
“দ্বীপশিখা” একটি সম্পূর্ণ স্বাধীন, অরাজনৈতিক ও ছাত্র কল্যাণমূলক সংগঠন।এই সংগঠনের কোন অঙ্গসংগঠন থাকবে না বা এই সংগঠন অন্য কোন সংগঠনের অঙ্গসংগঠন হিসেবে কাজ করবে না।
অনুচ্ছেদ-৫
লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যঃ
১। ঢাকার বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ ও স্কুলে অধ্যয়নরত কুতুবদিয়া উপজেলার সকল শিক্ষার্থীদেরকে পারস্পরিক যোগাযোগ, সম্প্রীতি ও ভ্রাতৃত্বের বন্ধনে সংঘবদ্ধ রাখা।
২। অত্র উপজেলার ছাত্র-ছাত্রীদের শিক্ষাজীবনে সম্মুখীন যেকোন ধরণের সমস্যার সমাধানকল্পে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা।
৩। কুতুবদিয়া হতে আগত শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি প্রক্রিয়া, বিষয় নির্বাচন ও হলে আসন প্রাপ্তির বিষয়ে সর্বাত্মক সহযোগিতা প্রদান করা।
৪। কুতুবদিয়ার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের উচ্চ শিক্ষার প্রতি উদ্বুদ্ধ করা, সুশিক্ষিত হওয়ার ক্ষেত্রে অনুপ্রাণিত করা এবং এক্ষেত্রে সাধ্যমত সহযোগিতা করা।
৫। প্রাকৃতিক দূর্যোগ যেমন- ঘূর্ণিঝড়, জলোচ্ছ্বাস, বন্যায় এলাকাবাসীর পাশে দাঁড়ানো।
৬। কুতুবদিয়ার বিভিন্ন সমস্যার সমাধান ও অবকাঠামোগত উন্নয়নে সংঘবদ্ধভাবে ভূমিকা রাখা।
৭। ঢাকাস্থ কুতুবদিয়ার বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গের সাথে পারস্পরিক যোগাযোগ বৃদ্ধি।
৮। সর্বোপরি, কুতুবদিয়াকে শিক্ষা, সাহিত্য ও সংস্কৃতির অঙ্গনে সমৃদ্ধশালী করা।
অনুচ্ছেদ-৬
সদস্য
ঢাকায় অধ্যয়নরত কুতুবদিয়া উপজেলার সকল ছাত্র-ছাত্রী এই সংগঠনের লক্ষ্য, উদ্দেশ্য ও আদর্শের সাথে একাত্নতা ঘোষণা করে এবং সংগঠনের নিয়ম-কানুন মেনে চলার নীতিতে সদস্যপদ গ্রহণ করতে পারবে।
অনুচ্ছেদ-৭
উপদেষ্টা পরিষদ
(ক) ঢাকায় অবস্থানরত কুতুবদিয়াউপজেলার বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গউপদেষ্টা পরিষদের অন্তর্ভুক্ত থাকবেন।
(খ) অত্র সংগঠনের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক কার্যনির্বাহী কমিটির দায়িত্ব থেকে অবসর নেয়ার পরবর্তী সাত বছর পর্যন্ত উপদেষ্টা পরিষদের অন্তর্ভুক্ত থাকবেন।
অনুচ্ছেদ-৮
কার্যনির্বাহী কমিটি
(ক) এই সংগঠনের সকল কার্যক্রম সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে পরিচালনা ও নীতিনির্ধারণের জন্য ২১ সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি গঠিত হবে। কার্যনির্বাহী কমিটির মেয়াদ ০১(এক) বছর হবে। অর্থাৎ প্রতি এক বছর অন্তর বার্ষিক কাউন্সিল অধিবেশন অনুষ্ঠিত হবে। এই সংগঠন জুন-মে এই হিসাবে বর্ষ গণনা করবে।
(খ) কার্যনির্বাহী কমিটির সকল সদস্য তাদের যাবতীয় কাজের জন্য সাধারণ সভার নিকট দায়ী থাকবে।
অনুচ্ছেদ-৯
কার্যনির্বাহী কমিটির কাঠামো
১। সভাপতি ১ জন
২। সহ সভাপতি ২ জন
৩। সাধারণ সম্পাদক ১ জন
৪। যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ২ জন
৫। অর্থ সম্পাদক ১ জন
৬। সাংগঠনিক সম্পাদক ২ জন
৭। প্রচার সম্পাদক ১ জন
৮। সহ প্রচার সম্পাদক ১ জন
৯। দপ্তর সম্পাদক ১ জন
১০। গ্রন্থগার ও প্রকাশনা সম্পাদক ১ জন
১১। তথ্য ও যোগাযোগ বিষয়ক সম্পাদক ১ জন
১২। ছাত্রী বিষয়ক সম্পাদক ১ জন
১৩। অনুষ্ঠান সম্পাদক ১ জন
১৪। আপ্যায়ন বিষয়ক সম্পাদক ১ জন
১৫। সদস্য ৪ জন
অনুচ্ছেদ-১০
নির্বাচন পদ্ধতি
১। কার্যনির্বাহী কমিটিতে ২১ জন সদস্য থাকবে।
২। সংগঠনের সকল সদস্যের প্রত্যক্ষ ভোটে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হবে।
৩। যারা সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী হবে তারা নির্বাচনের দিন সকল সদস্যদের সামনে এই মর্মে প্রতিজ্ঞা করবে যে, সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত না হলেও সংগঠনের সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত থাকবে এবং সংগঠনের স্বার্থবিরোধী কোন কাজে লিপ্ত হবে না।
৪। নির্বাচিত সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক কাজের মূল্যায়নের ভিত্তিতে এবং উপদেষ্টা পরিষদের পরামর্শক্রমে পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করবে।
৫।সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হওয়ার ১০ (দশ) দিনের মধ্যে অবশ্যই পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করতে হবে। কোন বিশেষ কারণে ১০ (দশ) দিনের মধ্যে কমিটি ঘোষণা করতে না পারলে উপদেষ্টা পরিষদের অনুমতি নিয়ে আরো ৫ (পাঁচ) দিন সময় নেয়া যেতে পারে।
এই পনের দিনের মধ্যেও পূর্ণাঙ্গ কমিটি দিতে না পারলে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের পদ বাতিল বলে গন্য হবে। এমতাবস্থায় উপদেষ্টা পরিষদের পরামর্শক্রমে সাধারণ সদস্যদের মধ্য থেকে একজনকে আহবায়ক করে ৭ (সাত) সদস্য বিশিষ্ট আহবায়ক কমিটি ঘোষণা করতে হবে। এই কমিটির মেয়াদ থাকবে সর্বোচ্চ একমাস। এই সময়ের মধ্যে তারা নতুন নির্বাচন দিবে এবং নব নির্বাচিত সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক নিয়ে অবশ্যই সাত দিনের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করবে। পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষিত হওয়ার সাথে সাথে আহবায়ক কমিটি বিলুপ্ত হবে।
৬। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসমূহ বন্ধ থাকাকালীন সময়ে সংগঠনের কোন প্রকার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে না (গ্রীষ্মকালীন, শীতকালীন, রমযান এবং বিবিধ)।
অনুচ্ছেদ-১১
কার্যনির্বাহী কমিটির দায়িত্ব, কার্যাবলী এবং যোগ্যতা
১. সভাপতি
ক. সভাপতি এই সংগঠনের প্রধান কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। তিনি পদাধিকার বলে কার্যনির্বাহী কমিটি ও সাধারণ সভাসমূহের সভাপতিত্ব করবেন।
খ. যে কোন সাংগঠনিক অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে তিনি সভা আহবান করতে পারবেন অর্থাৎ সাধারণ সম্পাদক সভা আহবান না করলে সভাপতি নিজেই সভা আহবান করতে পারবেন।
গ. সভাপতির স্বাক্ষর ছাড়া কোন প্রস্তাবই অনুমোদিত হবে না।
ঘ. অর্থসংক্রান্ত যাবতীয় আয় ব্যয় বিল সম্পাদকমন্ডলীর সুপারিশক্রমে সভাপতি অনুমোদন করবেন।
ঙ. সংগঠনের সভাপতিকে কমপক্ষে তৃতীয় বর্ষ (সম্মান) শ্রেণীর ছাত্র/ছাত্রী হতে হবে।
২. সহ-সভাপতি
ক. সভাপতির অনুপস্থিতিতে ক্রমিক অনুযায়ী তারা কার্যনির্বাহী কমিটির সভা/সাধারণ সভায় সভাপতিত্ব করবেন। সভাপতির মতই তারা গঠনতন্ত্র অনুসারে সিদ্ধান্ত দিতে পারবেন।
খ. সহ-সভাপতিকেও কমপক্ষে তৃতীয় বর্ষের হতে হবে।
৩. সাধারণ সম্পাদক
ক. সাধারণ সম্পাদক অত্র সংগঠনের প্রধান কর্মসচিব। তিনি সম্পাদক মন্ডলীর কাজের সমন্বয় সাধন করবেন এবং তাদের সাথে আলাপ করে বাজেট পেশ করবেন।
খ. সংগঠনের যাবতীয় কাগজপত্র তিনি দেখাশুনা করবেন এবং সেগুলো রক্ষণাবেক্ষনের জন্য দায়ী থাকবেন।
গ. বাৎসরিক কার্যবিবরনী প্রস্তুত করে বাৎসরিক আয়-ব্যয় সহ বার্ষিক রিপোর্ট পেশ করবেন।
ঘ. সভাপতির সাথে পরামর্শ করে কার্যনির্বাহী কমিটির সভা এবং সাধারণ সভা আহবান করবেন।
ঙ. সাধারণ সম্পাদককে কমপক্ষে তৃতীয় বর্ষের ছাত্র/ছাত্রী হতে হবে।
৪. যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক
সাধারণ সম্পাদকের কাজে সাহায্য করা যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদকের কাজ। তাছাড়া সাধারণ সম্পাদকের অনুপস্থিতিতে ক্রমিক অনুযায়ী তিনি সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।
৫. অর্থ সম্পাদক
ক. সংগঠনের আয়-ব্যয়ের সঠিক হিসাব রাখা,সংগৃহীত অর্থ যাতে সংগঠনের স্বার্থে ব্যয় হয় সেদিকে দৃষ্টি রাখা ইত্যাদি অর্থ-সম্পাদকের মূল কাজ।
খ. কার্যনির্বাহী কমিটির নির্দেশ অনুযায়ী নির্দিষ্ট ব্যাংক একাউন্টে সংগঠনের অর্থ জমা দিবেন।
গ. সংগঠনের জমা খরচের হিসাব-নিকাশ সংক্রান্ত যাবতীয় ব্যাপারে অর্থ-সম্পাদক সাধারণভাবে দায়ী থাকবেন।
৬. সাংগঠনিক সম্পাদক
ক. সাংগঠনিক সম্পাদক সংগঠনকে শক্তিশালী করার জন্য সর্বদা নিয়োজিত থাকবেন।
খ. সংগঠনের শৃঙ্খলা এবং ব্যাপ্তি ঘটানোর জন্য নিবেদিত প্রাণ হিসেবে কাজ করাই তার প্রধান কাজ।
৭. প্রচার সম্পাদক
সংগঠনের বিকাশ সাধনের জন্য প্রচারপত্র , পোস্টার এবং বক্তব্য অত্র সংগঠনের সদস্যদের মধ্যে পৌছে দেয়া প্রচার সম্পাদকের কাজ।
৮. সহ-প্রচার সম্পাদক
প্রচার সম্পাদকের কাজে সাহায্য করাই তার প্রধান কাজ।
৯. দপ্তর সম্পাদক
তিনি দপ্তরের কাজে নিয়োজিত থাকবেন এবং সংগঠনের যাবতীয় কাগজপত্র ও সভার রেকর্ডসমূহ সংরক্ষণ করবেন।
১০. গ্রন্থাগার ও প্রকাশনা সম্পাদক
ম্যাগাজিন, লিফলেট, প্যাড ইত্যাদি প্রকাশ করা এবং গ্রন্থনা করা তার প্রধান কাজ।
১১. তথ্য ও যোগাযোগ বিষয়ক সম্পাদক
বিভিন্ন প্রকার তথ্য সংগ্রহ করবে,সবার সাথে সাংগঠনিক যোগাযোগ রাখবে এবং সংগঠনের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে তা জানাবে।
১২. ছাত্রী বিষয়ক সম্পাদক
ক. ঢাকায় কুতুবদিয়া উপজেলার ছাত্রীদের সংগঠিত করবে এবং তাদের সমস্যাগুলো সবার সাথে আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের চেষ্টা করবে।
খ. কার্যনির্বাহী কমিটি কতৃক অর্পিত যাবতীয় কার্যক্রম পরিচালনা করার দায়িত্ব তার উপর ন্যস্ত থাকবে।
১৩. অনুষ্ঠান সম্পাদক
এই সম্পাদকের প্রধান কাজ সাহিত্য, সংস্কৃতি ও ক্রীড়া সংক্রান্ত যাবতীয় কাজ করা এবং বিভিন্ন অনুষ্ঠান সুন্দর ও সুচারুভাবে এগিয়ে নেওয়ার লক্ষে কাজ করা।
১৪. আপ্যায়ন বিষয়ক সম্পাদক
এই সম্পাদকের প্রধান কাজযে কোন অনুষ্ঠানে আপ্যায়নসংক্রান্ত যাবতীয় কাজ সুচারুভাবে সম্পাদন করা।
১৫. সদস্য
কার্যনির্বাহী কমিটির সকল কাজে সহযোগিতা করা সদস্যদের প্রধান কাজ।
অনুচ্ছেদ-১২
কার্যনির্বাহী কমিটির সভা ও কার্যক্রম
১. দ্বীপশিখার সকল কার্যক্রম কার্যনির্বাহী কমিটি কতৃক পরিচালিত হবে। তবে কোন জটিল বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণের পূর্বে তা সাধারণ সভায় আলোচনা করতে হবে।
২. কমিটির সকল সদস্য সংগঠন সংক্রান্ত নিজ নিজ কাজের জন্য সাধারণ সভার নিকট দায়ী থাকবেন।
৩. বছরে কার্যনির্বাহী কমিটির কমপক্ষে ১২ টি সভা আহবান করতে হবে।
৪. কার্যনির্বাহী কমিটির সভার নোটিশ সভার নির্দিষ্ট তারিখের কমপক্ষে ৭ (সাত) দিন পূর্বে জারি করতে হবে। তাছাড়া জরুরী অবস্থায় একদিনের নোটিশেও সভা আহবান করা যাবে।
৫. কার্যনির্বাহী কমিটি প্রয়োজন বোধে যে কোন সদস্যকে বিশেষ দায়িত্ব দিতে পারবেন।
৬. কার্যনির্বাহী কমিটির কোন সদস্য উপর্যুপরি (তিন) টি কার্যনির্বাহী কমিটির সভায় অনুপস্থিত থাকলে তার কমিটির সদস্যপদ স্থগিত বলে গন্য হবে। অবশ্য পূর্বে অনুমতি অথবা সন্তোষজনক কারণ থাকলে কার্যনির্বাহী কমিটি তা বিবেচনা করবে।
৭. কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্যদের সদস্যপদ বাতিল বা শুন্য হলে তা পূরনের জন্য কার্যনির্বাহী কমিটি সাধারণ সভায় প্রেরণ করবে।
৮. কার্যনির্বাহী কমিটির সাধারণ সভা, বিশেষ সাধারণ সভার তারিখ, সময়, স্থান ও আলোচ্য বিষয় নির্ধারণ করবে।
৯. কমিটির কমপক্ষে ৮ (আট) জন সদস্যের উপস্থিতিতে সভার কোরাম হবে।
১০. নির্ধারিত সময়ের ২০ (বিশ) মিনিটের মধ্যে কোরাম না হলে ঐ দিনের জন্য কার্যনির্বাহী কমিটির সভা মূলতবি হয়ে যাবে।
ঐ দিন উপস্থিত সদস্যদের আলোচনার ভিত্তিতে সময় ও তারিখ নির্ধারণ করা হবে। উক্ত সভায় কোন কোরামের প্রয়োজন হবে না। উপস্থিত সদস্যদের গৃহীত সিদ্ধান্তই চুড়ান্ত বলে বিবেচিত হবে।
অনুচ্ছেদ-১৩
সাধারণ সভা
১. প্রতি ১ মাসে একটি করে প্রতি বছর কমপক্ষে ১২ টি সভার আয়োজন করতে হবে।
২. সাধারণ সভার নোটিশ সভার তারিখ হতে কমপক্ষে ০৭ (সাত) দিন পূর্বে জারি করতে হবে।
৩. বার্ষিক সাধারণ সভায় (AGM) রিপোর্ট ও আয়-ব্যয়ের হিসাব অনুমোদন করা হবে।
৪. সভাপতির অনুমোদন সাপেক্ষে যেকোন বিষয় আলোচনার জন্য সাধারণ সভায় উপস্থাপন করা যাবে এবং আলোচনার পর উপস্থিত সদস্যদের সংখ্যাগরিষ্ঠের মতামত অনুযায়ী চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।
অনুচ্ছেদ-১৪
কার্যনির্বাহী কমিটির প্রতি অনাস্থা
১. কার্যনির্বাহী কমিটির কোন সদস্যের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনতে হলে সুনির্দিষ্ট অভিযোগসহ কার্যনির্বাহী কমিটির দুই-তৃতীয়াংশ স্বাক্ষরযুক্ত নোটিশ সাধারণ সম্পাদকের নিকট জমা দিতে হবে।
২. সাধারণ সম্পাদক উক্ত নোটিশ গ্রহণের পর ৭ (সাত) দিনের মধ্যে সভাপতির সাথে আলোচনা সাপেক্ষে কার্যনির্বাহী কমিটির সভা আহবান করবেন। উপস্থিত সদস্যদের দুই-তৃতীয়াংশের মতামতের ভিত্তিতে উক্ত প্রস্তাব গৃহীত হবে।
৩. সম্পূর্ণ কার্যনির্বাহী কমিটির প্রতি অনাস্থা প্রস্তাব আনতে হলে সুনির্দিষ্ট অভিযোগসহ কার্যনির্বাহী কমিটির দুই-তৃতীয়াংশের স্বাক্ষরযুক্ত নোটিশ সাধারণ সম্পাদকের নিকট জমা দিতে হবে। সাধারণ সম্পাদক ১৫ (পনের) দিনের মধ্যে সাধারণ সভা আহবান করতে বাধ্য থাকবেন।
৪. সাধারণ সভায় সম্পূর্ণ কার্যনির্বাহী কমিটির প্রতি অনাস্থা প্রস্তাব গৃহীত হলে একজন সদস্যকে আহবায়ক করে ৭ (সাত) সদস্য বিশিষ্ট একটি আহবায়ক কমিটি গঠন করা হবে।
৫. আহবায়ক কমিটির নিকট যাবতীয় কার্যসংক্রান্ত কাগজপত্র ও দায়িত্বভার বিদায়ী কার্যনির্বাহী কমিটি ০৭ (সাত) দিনের মধ্যে বুঝিয়ে দিতে বাধ্য থাকবেন। পরবর্তী কমিটি না হওয়া পর্যন্ত এই কমিটি কাজ চালিয়ে যাবে। তবে এই কমিটির মেয়াদ সর্বোচ্চ ০২ (দুই) মাস হবে।
৬. আহবায়ক কমিটি ২ (দুই) মাসের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের ব্যবস্থা করবেন এবং নির্বাচিত কার্যনির্বাহী কমিটির নিকট ০৩ (তিন) দিনের মধ্যে দায়িত্বভার বুঝিয়ে দিতে বাধ্য থাকবেন।
৭. সাধারণ সম্পাদকের প্রতি অনাস্থা প্রস্তাব আনতে হলে তার বিরুদ্ধে দুই-তৃতীয়াংশ সদস্যের স্বাক্ষরযুক্ত অভিযোগপত্র সভাপতির নিকট জমা দিতে হবে। সভাপতি ১০ (দশ) দিনের মধ্যে কার্যনির্বাহী কমিটির সভা ডাকবেন এবং এ ব্যাপারে আলোচনা সাপেক্ষে কার্যকর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবেন।
৮. সভাপতির প্রতি অনাস্থা প্রস্তাব আনতে হলে তার বিরুদ্ধে দুই-তৃতীয়াংশ সদস্যের স্বাক্ষরযুক্ত অভিযোগপত্র সাধারণ সম্পাদকের নিকট জমা দিতে হবে। এ ক্ষেত্রে সাধারণ সম্পাদক ১০ (দশ) দিনের মধ্যে কার্যনির্বাহী কমিটির সভা ডাকবেন এবং এ ব্যাপারে আলোচনা সাপেক্ষে কার্যকর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবেন।
অনুচ্ছেদ-১৫
সদস্যপদ বাতিল
১. যদি কোন সদস্য সংগঠনের নীতিমালা ও স্বার্থের পরিপন্থী কোন কাজে জড়িত হন তবে সুস্পষ্ট প্রমাণ সাপেক্ষে উপদেষ্টা পরিষদের পরামর্শক্রমে কার্যনির্বাহী কমিটি উক্ত সদস্যের সদস্যপদ স্থগিত বা বাতিল করতে পারবে।
২. যদি কোন সদস্য অত্র সংগঠনের কোন সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে রাজনৈতিক প্রভাব খাটাতে চেষ্টা করে তবে উপদেষ্টা পরিষদের পরামর্শক্রমে কার্যনির্বাহী কমিটি কোন প্রকার কারণ দর্শাও নোটিশ ছাড়াই সরাসরি সদস্যপদ বাতিল করতে পারবে। তবে অপরাধের গুরুত্ব বিবেচনা করে কার্যনির্বাহী কমিটি শাস্তির মাত্রা পরিবর্তন করতে পারবে।
৩. কোন রাজনৈতিক দলের কমিটিতে পদপ্রাপ্ত কেউ এই সংগঠনের কার্যনির্বাহী কমিটিতে থাকতে পারবে না। কোন সদস্য তার রাজনৈতিক অবস্থান গোপণ করে এই সংগঠনের কার্যনির্বাহী কমিটিতে আসলে এবং পরবর্তিতে যদি তা প্রমানিত হয় যে, তিনি কোন রাজনৈতিক দলের পদপ্রাপ্ত তবে তার কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্যপদ সাথে সাথে বিলুপ্ত হবে।
অনুচ্ছেদ-১৬
পুনঃসদস্যপদ লাভ
১. কোন সদস্যের সদস্যপদ বাতিল হলে ভুলের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা এবং সংগঠনের যাবতীয় ঋণ পরিশোধ পূর্বক নতুনভাবে সদস্য হওয়ার জন্য আবেদন করতে পারবে।
২. পুনরায় সদস্যপদ প্রদানের ক্ষেত্রে কার্যনির্বাহী কমিটির দুই-তৃতীয়াংশের অনুমতি প্রয়োজন পড়বে।
অনুচ্ছেদ-১৭
সদস্য ফি
ক. সদস্যদের নিকট থেকে সদস্যফরম বাবদ ১০০.০০ (একশ) টাকা গ্রহণ করা হবে। প্রতি মাসে ৫০ টাকা হারে প্রতি ছয় মাস পরপর ৩০০(তিনশ) টাকা গ্রহণ করা হবে। কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্যবৃন্দ থেকে প্রতি মাসে ১০০(একশ) টাকা হারে প্রতি ছয় মাস পরপর ৬০০.০০ (ছয়শ) টাকা গ্রহণ করা হবে।
খ. অর্থের বিশেষ প্রয়োজনে সাধারণ সভা ডেকে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।
অনুচ্ছেদ-১৮
তহবিল
ক. তহবিল উৎস
অত্র সংগঠনের সদস্যদের প্রাথমিক সদস্য ফি এবং অর্ধ-বার্ষিক চাঁদা সংগঠনের তহবিলের প্রধান উৎস হিসেবে গন্য হবে। তবে শুভাকাংখীদের নিঃস্বার্থএককালীন দান বা সাহায্যও তহবিলের উৎস হিসেবে বিবেচিত হবে।
খ. যথাযোগ্য রশিদ ছাড়া এবং কার্যনির্বাহী কমিটির সিদ্ধান্ত ব্যতিত অত্র সংগঠনের নামে কোন চাঁদা গ্রহন করা যাবে না। তহবিলের সুবিধার্থে সভাপতি,সাধারণ সম্পাদক ও অর্থসম্পাদকের যৌথ স্বাক্ষরে যেকোন বানিজ্যিক ব্যাংকে একটি হিসেব খোলতে হবে। তবে যেকোন দুই জনের স্বাক্ষরে টাকা উত্তোলন করা যাবে।
অনুচ্ছেদ-১৯
ব্যয়
১. দ্বীপশিখার সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের অনুমতিক্রমে কোন সদস্য সংগঠনের স্বার্থে যেকোন উদ্দেশ্যে অর্থ ব্যয় করতে পারবেন।
২. ব্যয়কৃত অর্থের ভাউচার সাধারণ সম্পাদকের সুপারিশক্রমে ও সভাপতির অনুমোদন সাপেক্ষে অর্থসম্পাদক কতৃক গৃহীত ও প্রদত্ত হবে।
৩. অত্র সংগঠনের যেকোন সদস্য কার্যনির্বাহী কমিটির অনুমোদন ব্যতিত একটি ভাউচারে ৩০০.০০ (তিন শত) টাকার বেশি খরচ করতে পারবে না।
৪. সংগঠনের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক নগদ ৫০০.০০ (পাঁচশত) টাকার বেশি রাখতে পারবেন না।
অনুচ্ছেদ-২০
অনুষ্ঠানাদি
সম্ভব হলে বছরে একটি বনভোজন, নবীন বরণ, ইফতার পার্টি ইত্যাদি অনুষ্ঠান আয়োজন করা হবে। তবে পারস্পারিক পরিচিতি, সৌহার্দবোধ,বন্ধন এবং ভ্রাতৃত্ববোধ সৃষ্টিই অনুষ্ঠানাদির মূল লক্ষ্য বলে বিবেচিত হবে।
অনুচ্ছেদ-২১
সিদ্ধান্ত
এই সংগঠনের যেকোন সভায় সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে সংখ্যাধিক্যের রায়ই চুড়ান্ত বলে গন্য হবে।
অনুচ্ছেদ-২২
সংবিধান পরিবর্তন
অত্র সংগঠনের যেকোন পরিবর্তন, পরিবর্ধন, পরিমার্জন বার্ষিক সাধারণ সভায় গৃহীত হবে। তবে এরুপ পরিবর্তন অবশ্যই দুই তৃতীয়াংশ সদস্যের সম্মতিক্রমে হতে হবে।
অনুচ্ছেদ-২৩
বিলুপ্তি
যদি কোন কারণে এই সংগঠনের বিলুপ্তি ঘটে তবে এই সংগঠনের যাবতীয় সম্পত্তি কুতুবদিয়া উপজেলার ছাত্র/ছাত্রীদের কল্যাণে ব্যয়িত হবে।